ধ্রুব রিপোর্ট
❒ সিরাজুল ইসলামের পোস্টার ছবি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। নিজের হাসিমুখের ছবি দিয়ে এলাকায় পোস্টারও মেরেছিলেন যত্রতত্র। ইচ্ছা ছিল, ব্যালট পেপারে নিজের জয়গান শোনার। কিন্তু বিধি বাম! নিজের লাগানো সেই পোস্টারই যে তার জন্য কাল হবে, তা হয়তো ঘুণাড়্গরেও ভাবেননি এই ‘ভাবী’ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
পুলিশের কাছে অপরাধী খুঁজে পাওয়ার চেয়ে সহজ কাজ আর কী হতে পারে, যদি অপরাধী নিজেই নিজের ছবিসহ ঠিকানা দেয়ালে দেয়ালে টাঙিয়ে রাখে? মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময় থানা মসজিদের এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।গ্রেফতার হওয়া সিরাজুল ইসলাম ঝিকরগাছা উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের মৃত শামউদ্দিনের ছেলে।
বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে সেই কাক্সিড়্গত গšত্মব্যে পাঠানো হয়েছে, তবে সেটা সংসদ ভবন নয়, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার। এলাকায় এখন মুখরোচক আলোচনা চলছে, সিরাজুল সাহেব ভোটারদের মন জয় করতে না পারলেও, নিজের পোস্টার দিয়ে পুলিশের মন ঠিকই জয় করেছেন।
ঘটনার শুরম্ন একটি পাওনা টাকা সংক্রাšত্ম চেক ডিজঅনার মামলা নিয়ে। দেড় লাখ টাকার ওই মামলায় আদালত আগেই তাকে সাজা শুনিয়েছিলেন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এতদিন তিনি অনেকটা ‘আড়ালে’ থাকলেও শখ জাগে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার। সেই উত্তেজনায় নির্বাচনী এলাকায় নিজের ছবিসহ পোস্টার সাঁটান তিনি। পুলিশও সেই পোস্টার দেখে তার বর্তমান অবয়বটি চিনে নেয় এবং সুযোগমত গ্রেফতার করে।
বুধবার এই নির্বাচনী স্বপ্নদ্রষ্টাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারগুলো এখন ঝিকরগাছার দেয়ালে দেয়ালে বিদ্রূপ ছড়াচ্ছে। সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তবে ভোটারদের দ্বারে যাওয়ার বদলে আদালতের পরোয়ানায় তাকে যেতে হলো কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে।
এলাকাবাসী রসিকতা করে বলছেন,‘এমপি সাহেব তো প্রচারেই থাকতে চেয়েছিলেন, পুলিশ তাকে ঠিকঠাক ‘পাব্লিসিটি’ দিয়ে শ্রীঘরে পৌঁছে দিল!’