ধ্রুব ডেস্ক
❒ ওসমান হাদি ছবি:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক শরিফ ওসমান শরীফ হাদি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে শক্তিশালী কণ্ঠস্বরদের একজন ছিলেন এই তরুণ বিপ্লবী।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ইতিহাসে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে যখনই জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন এসেছে, তখনই ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শোকাহত। অনেকে তাঁকে 'জুলাই বিপ্লবের সাংস্কৃতিক ও আধিপত্যবাদবিরোধী যুদ্ধের সিপাহসালার' হিসেবে অভিহিত করছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, “ওসমান হাদি শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর রেখে যাওয়া দর্শনই ইনকিলাব মঞ্চের মূল শক্তি।”
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর আবেগঘন বার্তার পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বুদ্ধিজীবীরাও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, আবরার ফাহাদ এবং আবু সাঈদের মতো ওসমান হাদিও বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবেন। হাদির এই চলে যাওয়াকে অনেকে ‘একজন সেনাপতির প্রস্থান’ হিসেবে দেখছেন, যিনি তরুণদের মনে দেশপ্রেমের বীজ বুনে দিয়ে গেছেন।
মরহুমের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর জানাজা ও দাফন সংক্রান্ত বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।