ধ্রুব রিপোর্ট
শার্শার পল্লীতে গৃহবধূ গণধর্ষণ ও সহযোগীতার মামলায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক খোন্দকার শাহ আলম।
মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলো, উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আক্তার হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, রমজান মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, পূর্বপাড়ার মৃত গফুর আলী বিশ্বাসের ছেলে আমজেদ আলী, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ ওরফে আদুল হোসেন মেম্বর, মৃত রমজান মন্ডলের ছেলে আকবার আলী, ছুরমান আলীর ছেলে ইকবার মাহমুদ ও মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আক্তারুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে জানাগেছে, গৃহবধূর স্বামী কখনো কৃষি কাজ আবার কখনো খুলনা শহরে রিকসা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। গত ৩০ জুন সকালে তার স্বামী রিকসা চালাতে খুলনা চলে যান। এ সুযোগে গৃহবধূকে বাড়িতে একা পেয়ে আসামি আব্দুল্লাহ, আমজেদ ও সিরাজুল ইসলাম মুখ বেধে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। এরপর তার স্বামী বাড়ি ফিরলে মেম্বরসহ অপর আসামিরা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার কথা বলে মামলা করতে বাধা দেয়। অবশেষে বিষয়টি মীমাংসা করে না দেয়ায় গৃহবধূর স্বামী গত ৭ জুলাই শার্শা থানায় গণধর্ষনের অভিযোগে মামলা করেন।
এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৭ জনকে অভিযুক করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস ও আব্দুল আহাদকে পলাতক দেখানো হয়েছে।