যশোরের হাসপাতালে রোগীদের চরম ভোগান্তি

ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরসহ সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে এই কর্মবিরতি পালিত হয়।

কর্মসূচির কারণে হাসপাতালটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ সরবরাহসহ সমস্ত কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

দেখা গেছে , ফার্মেসির ওষুধ বিতরণ, প্যাথলজি, হরমোন পরীক্ষা, ব্লাড ব্যাংক, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ডেন্টাল, ফিজিওথেরাপি সেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। ফলস্বরূপ, রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেবাসমূহ কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ডিপ্লোমাধারী পেশাজীবীদের জন্য ২-৩ দশক পূর্বেই ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অথচ, স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সত্ত্বেও এবং নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের এই ন্যায্য দাবি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়িত হয়নি।

দীর্ঘদিন ধরে দাবির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পেশাজীবীরা এখন হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাঁরা আরও জানান, বর্তমানে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থাকলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে পূর্ণ দিবস কমপ্লিট শাটডাউন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম (এমটিএফ) এর সভাপতি হাসানুজ্জামান, ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি ফার্মাসিস্ট জহুরুল ইসলাম, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় রায়, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ফার্মাসিস্ট রাজু আহম্মেদ, প্যাথলজি ল্যাব ইনচার্জ পারভেজ হোসেন, সালাহ্উদ্দিন সেলিম এবং ব্লাড ব্যাংক ইনচার্জ চঞ্চল প্রমুখ।